নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সীমাখালি গ্রামের গাড়িচালক লিয়াকত সিকদার (৫০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাশ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লিয়াকত সিকদার সীমাখালি গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে। আর গ্রেফতার পলাশ মোল্লা আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সীমাখালি গ্রামের মৃত অলিয়ার মোল্লার ছেলে।
খুনের ঘটনায় লিয়াকত সিকদারের স্ত্রী আসমা বেগম চেয়ারম্যান পলাশ মোল্লাকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাছিম সিকদার (২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। নাছিম সিকদার সীমাখালি গ্রামের তবিবর সিকদারের ছেলে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পলাশ মোল্লার সঙ্গে লিয়াকত সিকদার অনুসারীদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এরই জের ধওে গত ২৮ আগস্ট রাত নয়টার দিকে লিয়াকত সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে কালনা-খুলনা ভায়া নড়াইল সড়কের সীমাখালি এলাকার নবীর শেখের বাড়ির রাস্তার পাশের খাদ থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর পরই পলাশ চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা গা-ঢাকা দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার একটি স্থান থেকে চেয়ারম্যান পলাশ মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রবীরকুমার রায় চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে আর কিছু জানাতে রাজি হননি।