লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরা হচ্ছিলো মাইশা পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসে। হঠাৎ বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে! শুরু হয় আহাজারি। রোববার দিবাগত রাত দেড়টা। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার এদুরঘটনা ঘটে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা মানুষজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরকরেন। কিন্তু সবাই ছুটে পালাতে পারেননি। তার আগেই কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকের শরীরের ভয়াবহ ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৩ জন। আহত হয় অন্তত ২০ জন। যাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
জয়নাল আবেদীন জানান, আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচল করে মাইশা পরিবহন। রাত দেড়টার দিকে এই পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রীণলিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিলেন না। তবে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা একাধিক সিএনজি চালকসহ অন্তত ২০ জন হতাহত হন। এসময় আতঙ্কিত মানুষজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা বিকট শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে যাই। পরে এসে দেখি স্পটেই তিনজন মারা গেছেন।
ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মী জানান, বাসের সিলিন্ডার সম্ভবত পুরাতন ছিলো। এই কারণে গ্যাসের প্রেসার নিতে পারেনি। তাই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস।