ঢাকা টাওয়ার ডেক্স: ডিবি কার্যালয়কে ভাতের হোটেল বানানোর কারিগর ডিবি হারুন কোথায়? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কোথাও মিলছে না তার হদিস। হঠাৎ ডিবি হারুনের এক ফোনালাপে অনেকটা স্পষ্ট এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন সময় তাকে ঘিরে ছিলো নানা জল্পনা-কল্পনা।
কানাডা ভিত্তিক চ্যানেল নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিবের সঙ্গে হওয়া সেই ফোনালাপে ডিবি হারুন গণপিটুনি খাওয়া কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য উড়িয়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছিলেন, গণপিটুনিতে মারা গেছেন, কারো কারো ভাষ্যমতে, আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আবার কারো কারো মতে, ডিবি হারুন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন। নিরাপদে আছেন, শুধু এতোটুকুই স্পষ্ট করেন।
ফোনালাপের সময় ডিবি হারুনকে বলতে শোনা যায়, তিনি পালাতে চাননি। ডিএমপির কমিশনার তাকে নিরাপদে থাকতে বলেছিলেন। তার দাবি- তিনি কর্মস্থলে যোগদান করতে চাইলেও কমিশনার যোগদান করতে দেননি।
পুরো ফোনালাপজুড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন তিনি। হারুনের দাবি, কারো সঙ্গেই তিনি নিজ থেকে কিছুই করেননি। বরং ওপরের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। আর এই নির্দেশদাতা কারা তাও প্রকাশ করে দিয়েছেন ডিবি হারুন।
ফোনালাপে আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, জুলাই বিপ্লবে তিনি কোনো অন্যায় কাজ করেননি। উল্টো তার দাবি, সমন্বয়কদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন তিনি।
তবে ডিবি কার্যালয়ে বেআইনিভাবে সমন্বয়কদের তুলে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হারুন। জানালেন, এভাবে রাখার বিষয়ে সে সময় তিনি প্রতিবাদও করেছেন। কিন্তু, সিনিয়রদের নির্দেশ পালন ছাড়া উপায় ছিল না। আরও দাবি করেন, ডিবিতে থেকে হাজারও মানুষের উপকার করেছেন তিনি।
তবে, জুলাই বিপ্লবে মাঠে থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিতে দেখা গেলেও নিজেকে এখন একেবারেই নির্দোষ দাবি করছেন তিনি। তার দাবি, ছাত্রদের ওপর গুলির কোনো নির্দেশ তিনি দেননি।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা হারুন অর রশীদ ২০তম বিসিএসে অংশ নিয়ে সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। কর্মজীবনে নানান আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে অন্যতম অগ্রনায়ক হিসেবেই ভূমিকা রাখেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।