ঢাকা অফিস: উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া ও ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মোতালিব, আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তুরাগ এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট বিকালে উত্তরা পশ্চিম থানার জসিমউদ্দিন রোডের আর কে টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস চলছিল। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুলিতে শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওমর নুরুল আবছারের মায়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৩১ আগস্ট একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত দুই আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মিয়া ও মো. আব্দুল মোতালিবকে শনাক্ত করার পর গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট উত্তরার ৩ নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণিতে বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে সানজিদ হোসেন মৃধা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সানজিদের বাবা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।