ঢাকা অফিস: অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, “আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকারের কথা চিন্তা করে এতদিন সরকার শক্ত অবস্থান নেয়নি। তবে আন্দোলনের নামে বন্যার্তদের ত্রাণ আটকে, সচিবালয়, যমুনা ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আর ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রবিবার রাতে সচিবালয়ের সামনে আনসারদের আন্দোলন কর্মসূচি ও সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লেখেন, “৫০-এর অধিক ছাত্র আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। পাঁচজন গুরুতর আহত, তবে শঙ্কার বাইরে। সাংবাদিক আসিফ হিমাদ্রীকেও ছাড়েনি আনসারের পোশাকে থাকা দুষ্কৃতকারীরা। আড়াইটার দিকে আনসার সদস্যদের উদ্দেশ্যে সরাসরি বক্তব্য দেন নাহিদ ভাই (উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম)। তারপর তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে ‘বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিলের’ দাবিটি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিলে সেখানেই প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন আনসার আন্দোলনের সমন্বয়করা। আলোচনার সময় আন্দোলনের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী এবং উগ্র মানসিকতার কিছু উস্কানিদাতা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।”
তিনি আরও লেখেন, “আন্দোলন স্থগিত করে সাধারণ আনসারদের মূল অংশটি চলে যায়। সারাদেশেও আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। তারপরও ৬টা থেকে আরেকটি অংশ সচিবালয়ের গেটগুলো অবরুদ্ধ করে রাখে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এর আগেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় চলে গিয়েছিলাম আমি। পরে জানতে পারি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে ও আনসারদের আন্দোলনে সৃষ্ট যানজটে ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে পড়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে এসে আটকা পড়েন সমন্বয়ক সারজিস ভাই আর হাসনাত ভাই। এছাড়া সাতজন উপদেষ্টাও আটকে ছিলেন সচিবালয়ে।”
আসিফ মাহমুদ লেখেন, “জাতীয় স্বার্থের আন্দোলন করে আমাদের সহস্রাধিক শহীদ হয়েছেন। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের দাবিতে এসে বিশৃঙ্খলা করে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। আন্দোলন হবে যৌক্তিক দাবিতে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে।”
এরই মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ইন্ধনদাতা সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।