উপকূলীয় ১৬ জেলার মানুষকে দেরি না করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ধেয়ে আসছে। ফলে উপকূলীয় ১৬ জেলার মানুষকে দেরি না করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রবিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। আট লাখেরও বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবাইকে শেষবারের মতো আহ্বান জানাবো- কাল বিলম্ব না করে যে সকল এলাকা অ্যাফেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে সবাই এক্ষুনি নিরাপদ আশ্রয়ে যান।’

মো. মহিববুর রহমান বলেন, আমরা পেছনের অভিজ্ঞতা দিয়ে আরও সক্ষমতার সঙ্গে রেমাল মোকাবিলার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমরা যে নির্দেশনা দিচ্ছি সেটা যদি সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে, আশা করছি এই দুর্যোগও আমরা পূর্বের মতো সক্ষমতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আট থেকে নয় হাজার আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করে রেডি করে রেখেছি। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার বিস্কুট, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে গেছে।ইতিমধ্যে আট লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।’

উপকূলীয় এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বলা হয়েছে তারা যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি থেকে মানুষকে আশ্রয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি আঘাত হানার আগে আমরা সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসতে পারবো। ঝড় পরবর্তী সময়ে কাজ করার জন্য আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’ এছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর লোক যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মহিববুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ের পরে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে অন্য এলাকার কর্মকর্তারা কাজ করতে পারেন সে জন্য টিম গঠনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুত রেখেছি।