চাকরিচ্যুত করা হয়েছে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে

বিশেষ প্রতিনিধি: বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে। তার নাম শাহেদ ফেরদৌস রানা।

গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। বুধবার এটি প্রকাশ হয়।

শাহেদ ফেরদৌস রানা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি লাইভের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) মো. নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র) আবু সাঈদ, মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মো. মানিক খান। রানার এই অভিযোগে ২০২২ সালে পুলিশ অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করে। পরে রানার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষীদের উপস্থাপিত ডিডিওসহ সব দলিলপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে একই বছরের ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত বলে মতামত দেওয়া হয়।
তাই সার্বিক পর্যালোচনায় এসপি শাহেদ ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলায় অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।