ঢাকা অফিস: ছবি সংগৃহীত; অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অগ্নিনির্বাপণে সরকারের সব প্রস্তুতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে হতাহত বাড়ছে। বেইলি রোডে ওই বহুতল ভবনে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, বীমা সম্পর্কে প্রত্যক নাগরিককে সচেতন করতে হবে। বীমা থেকে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে তা সবাইকে জানাতে হবে।
আগুন লাগা ভবনে ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা : পিবিআই এ সময় বীমা নিয়ে যারা বাণিজ্য করে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার তুলে নেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।