পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আমিনপুরে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এতে ওই নারীর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো– চর কেষ্টপুরের সেলিম প্রামাণিক, মো. শরীফ, রাজীব সরদার, রুহুল মণ্ডল, লালন সরদার ও সিরাজুল।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চর কেষ্টপুরে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের সাজসজ্জার কাজ করছিলেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। টাকার প্রয়োজনে স্বামীর কাছে যান স্ত্রী। ওয়াজ শুনে রাত ১২টার দিকে পাশের এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে আসামিরা তাদের পথরোথ করে। পরে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই নারীকে ভুট্টা খেতে নিয়ে দু’জন ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে নারীর স্বামী তাদের কাছ থেকে পালিয়ে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় অভিযুক্তদের একজনকে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। বাকিরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারীকে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নির্যাতনে গর্ভের সন্তান মারা গেছে। মামলা হলেও এখনও তাদের কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। থানায় গেলে কিছু পুলিশ আছে, নানান কথা বলে। যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের পক্ষ থেকেও হুমকি ও চাপ আসছে। বলছে কিছুই হবে না, আমাদেরই বিপদ হবে। তারা মীমাংসার কথা বলছে। তিনি এ ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার চান।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের গাফিলতির অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা হয় না। বাদীকে হুমকি-ধমকির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।