যশোর প্রতিনিধি: যশোরে মাদরাসা ছাত্র আব্দুল আলিম (১৩)কে বেদম পিটিয়ে জখমের ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার তেঘরিয়া-দুর্গাপুর আব্দুর রাজ্জাক আদর্শ শিশু সদনে এই ঘটনার পরে একই মাদরাসার শিক্ষক মোসাদ্দেক বিল্লার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পিতা একই এলাকার এড়েন্দা গ্রামের নজরুল ইসলাম।আসামি শিক্ষক মোসাদ্দেক বিল্লাহ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার অনুপমপুর গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে।বাদী মামলায় বলেছেন, তার ছেলে আব্দুল আলিমকে তেঘরিয়া-দুর্গাপুর আব্দুর রাজ্জাক আদর্শ শিশু সদনে হাফেজিসহ ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড় করে। শিক্ষকদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে কাউকে না জানিয়ে সে বাড়িতে চলে আসতো। আবার তাকে বুঝিয়ে মাদরাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তারপরও শিক্ষকদের নির্যাতনে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা থেকে পালিয়ে সদর উপজেলার রূপদিয়া-সাড়াপোল তার বোনের বাড়িয়ে পালিয়ে চলে যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আব্দুল আলিমের মা লাভলী বেগম তাকে সাথে নিয়ে মাদরাসায় শিক্ষক মোসাদ্দেক বিল্লাহ’র কাছে নিয়ে যান। এসময় আব্দুল আলিমের মাকে ওই শিক্ষক চলে যেতে বলেন। চলে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়তলার চার নম্বর কক্ষে হাত, পাসহ সারা শরীরে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। এসময় জীবনে রক্ষা পাওয়ার জন্য চিৎকার করলেও ওই শিক্ষক তাকে ছাড়ে নাই। পাশাপাশি তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে আটকে রাখে। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে খেলা করার কথা বলে আব্দুল আলিম পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। সারা শরীরে মারপিটের অবস্থা দেখে তার পিতা নজরুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনকে দেখিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপরে এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ এই মামলার আসামি মোসাদ্দেক বিল্লাহকে আটক করতে পারেনি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই লিটন চন্দ্র দাস বলেছেন, আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।