ঢাকা অফিস: দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতিতে ব্রেন ডেড মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রাত ৮টায় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হয় রার ১২ টা ১০ মিনিটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত মন্ডল।
তিনি জানান, বিএসএমএমইউ এর আইসিইউতে বৃহস্পতিবার ব্রেন ডেথ হয়ে মারা যান ঢাকার কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুম আলম। মৃত্যুর পর ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করেন তার পরিবার।
দেশে দ্বিতীয়বার ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের প্রধান ছিলেন সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। ক্যাডাভেরিকট ট্রান্সপ্লান্টের শুরুতে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন ব্লকের ওটিতে আসেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। দাদা মো. মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনদের সাথে কথা বলেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দাদার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চান।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে প্রথমে মাসুমের একটি কিডনি গ্রহণ করেন ঢাকার মহাখালী এলাকার বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী তাহমিনা ইয়াসীন। অন্য কিডনিটি নিয়েছেন জাকির হোসেন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি। যিনি গত সাতবছর ধরে ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন।
এবিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মো. মাসুম আলমকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পাঁচদিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন তিনি। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবে এইবার পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে আমরা মৃত ঘোষণা করি। তার মৃত্যুর পর ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করেন তার পরিবার।
তিনি বলেন, এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্য জনের মৃত্যু হয়েছে। সারাহের তার চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর দুজনকে।