যশোর শেখহাটিতে পাওনা টাকায় চাওয়ায় খুন হয় দিনমজুর দিপু

যশোর প্রতিনিধি: পাওনা এক হাজার টাকা চাওয়ায় গোলযোগের সূত্রে খুন হয় শহরতলীর ছোট শেখহাটি পূর্ব পাড়ার দিন মজুর দিপু হোসেন (২৪)। রাতের আঁধারে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতা রফিকুল ইসলাম মনু অভিযোগ করেছেন।

এই ঘটনায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এই মামলায় একই এলাকার সিরাজের ছেলে আব্দুল আলীম ওরফে রানা হোসেনকে (২৮) আটক করেছে।

অন্য আসামিরা হলো, মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে রাব্বি (৩০), আবুর ছেলে আসাদুল (২৯), তোফাজ্জেলের ছেলে হৃদয় (৩১) এবং ফজের আলীর ছেলে তাজু (৩৩)।

রফিকুল ইসলাম মনু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে দিপু হোসেন রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। মাছে মধ্যে গরু জবাইয়ের কাজ করে। মাস খানেক আগে তাদের বাড়ির পাশে বাবুর একটি গরু জবাইয়ের চুক্তি হয় দিপুসহ তিনজনের সাথে। বাকি দুইজন হলো আসামি রাব্বি ও ওই এলাকার সাঈদ। কাজ শেষে দিপুর ভাগের এক হাজার টাকা রাব্বি নিজের কাছে রাখে। ওই টাকা দিতে রাব্বি বিভিন্ন সময় ঘুরাতে থাকে। নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। গত ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাবিব তার বাড়িতে যায় দিপুকে খোঁজ করতে। কিন্তু দিপু রিকসা চালাতে গিয়েছে বলে জানালে সে চলে যায়। ওইদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে দিপু রিকসা চালিয়ে জামরুলতলা বাজারের কামরুলের চার্জারের দোকানে চার্জে বসিয়ে বাড়িতে ফির ছিলো। রাত সোয়া একটার দিকে মুন্সির বাঁশতলা নামক স্থানে পৌছালে আসামিরা তার পথরোধ করে। পরে রব মুন্সির মেহগুনি বাগারে মধ্যে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। অন্য আসামিরা লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। এ সমময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সংবাদ শুনে হাসপাতালে গিয়ে আহত দিপুর মুখ থেকে সবকিছু জানতে পারেন। ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে দিপু মারা যায়।

তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একরামুল হুদা জানিয়েছেন, এই মামলা হওয়ার পর গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর শহরের কালেক্টরেট মার্কেট থেকে আসামি আব্দুল আলীম ওরফে রানা হোসেনকে আটক করা হয়। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।