যশোরে ফেনসিডিলের মামলায় এ্যাথলেটিক হোস্টেলের সাবেক কেয়ারটেকারসহ দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

যশোর প্রতিনিধি 
ফেনসিডিলের মামলায় এ্যাথলেটিক হোস্টেলের সাবেক কেয়ারটেকার সামাদসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনকে খালস দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমাবর অতিরিক্ত দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে সামাদ ও ভোলা দৌলত খানের দক্ষিন জয়নগর গ্রামের নাসির ফারাজির ছেলে মাইক্রোবাস চালাক মোফাজ্জেল হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ ডিসেম্বর যশোরের র‌্যাব-৬ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রীড়া ভবনের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ্যাথলেটিক হোস্টেলের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় থামায় র‌্যাব। মাইক্রোবাস তল্লাশি করে পিছন থেকে বিশেষ কায়দায় তৈরী কাঠের বক্স থেকে ৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। চালক মোফাজ্জেলের স্বীকারোক্তিতে যশোর জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এ্যাথলেটিক হোস্টেলের রুমের তালা ভেঙ্গে তল্লাশি করে আরও দেড় লিটার ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি শাহজাহান আলী বাদী হয়ে আটক মোফাজ্জেলসহ ৫ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই অপূর্ব হাসান ২০১০ সালের ১৬ মার্চ ৪ জনকে অভিযুক্ত ও অপর একজনের অব্যহতির আবেদন জানিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহন শেষে আসামি সামাদ ও মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি সবুজ ও জনিকে খালাস দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুইজনই পলাতক রয়েছে।