যশোরে পিপি এম.ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বারে অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং জেলা ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এম.ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছেন এক আইনজীবী। আইনজীবী সমিতির গঠন তন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড ও রাষ্ট পক্ষের পিপি হয়ে আসামি পক্ষের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দুপুরে পিপির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি। একই সাথে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি মার্ডার মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনি। যার কোতোয়ালি থানার মামলা নাম্বার জিআর ৪১৩-২৩। এ মামলার আসামিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না দেয়ায় তিনি মামলার কাগজপত্র হাইকোর্টে প্রেরণ করেন। যার ক্রিমিনাল মিস নাম্বার-৪৮০৫৩/২৩। উচ্চ আদালত গত ২১ আগস্ট তার আসামিকে জামিন প্রদান করেন। পরে তিনি মিস কেসে বেইল বন্ড ফার্নিশিং করাতে যেয়ে জানতে পারেন পিপি এম ইদ্রিস আলী ওই মামলার পিপির প্রভাব খাটিয়ে সার্টিফাইড নকল গ্রহন করেন। নকল খানার সিরিয়াল নাম্বার-৩১৭৯। এরপর তার জুনিয়র আইনজীবী আহাদ আলীকে দিয়ে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে প্রেরণ করেন। যার মিস কেস নাম্বার-৪৭৭২৯/২৩। এ আবেদনে ওই একই আসামিকে উচ্চ আদালত ২০ আগস্ট জামিন দেন। পরে ২৭ আগস্ট ইদ্রিস আলীর জুনিয়র আহাদ আলী তা মিস কেসে বন্ড ফার্নিশিং করেছেন।
জনি বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্রে রয়েছে একজন আইনজীবী সমিতির অনুমতি ছাড়া অন্য আইনজীবীর মক্কেলের পক্ষে কাজ করতে পারবেনা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার অনুমতি নেয়া হয়নি। এছাড়া পিপি এম ইদ্রিস আলী নকল তুলতে পারবেন বাদী পক্ষের হয়ে কাজ করতে। কিন্তু তিনি নকল তুলে আসামি পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন। সেকাজে তার জুনিয়র আহাদ আলীকে ব্যবহার করেছেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট বলেন অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পিপি ইদ্রিস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়। ওই কাজে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি দাবি করেন, সৈয়দ কবীর হোসেন জনীর বিরুদ্ধে তার মক্কেলরাই অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।