যশোরের ভেকুটিয়া গ্রামের হিন্দুদের জমি দখলের চেষ্টা ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের হিন্দুদের জামি দখলের চেষ্টা ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছেন। একই এলাকার আব্দার তাদের রেকডিয় জমি দখল করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সয়ম উপস্থিত ছিলেন, নয়ন রায় মাধয়, অজিদ দত্ত, সমীতা রায়, জগদিশ রায়, দীপক রায়, কৃষ্ণা রায়, মীতা রাণী, ফিরোজ আলী প্রমুখ।
অবসরপ্রাপ্ত আব্দার হোসেন জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে সব জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে দেখা যায় ১১০ শতক জমির মধ্যে অনুকুল গং এর রেখে যাওয়া ৩৪ দশমিক ৩৬ শতক জমি অশোক গং শুধুমাত্র ৯০ এর রেকর্ডের বুনিয়াদে মান্নান নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। ১৯২৭ ও ৬২ সালের রেকর্ডে মালিকানা অশোক গংদের নামে নেই। এ জমির মধ্যে ৩৪ দশমিক ৩৬ শতক জমির ক্রেতা মান্নান তার নিজ দলখ বজায় রাখতে হিন্দু সম্প্রদায়কে পুজি করে নিজের সম্পদ রক্ষার জন্য কলহের সৃষ্টি করছেন। মান্নানের পরামর্শে মাধয় গংরা সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কথা রটনা করে বেড়াচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নয়ন রায় মাধয় লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা দীর্ঘ বছর ধরে বংশানুক্রমে ভেকুটিয়া গ্রামের সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি তাদের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে আদালতের রায় নিজের পক্ষে নিয়ে এসেছেন তিনি। এখন আমাদের বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ হয়ে তার জমি ছেড়ে দিতে হবে। এর প্রতিবাদ করলে আব্দার ও তার লোকজন হমকিসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।  এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনে সহযোগীতা কামনা করেছেন।
আব্দার হোসেন আরও জানিয়েছেন, আরবপুর ইউনিয়ের চেয়ারমনের দেয়া প্রতিবেদনে মোট জমির মদ্যে ৩৪ দশমিক ৩৬ শতক জমি মালিকের বহু আগে দেশ ত্যাগ করেছেন। এজমি খাস খতিয়ানে অন্তরভুক্তির আবেনদও করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
একই সাথে এ মহল্লার বাসিন্দা দেবেনের ওয়ারেশগন মোট ১১ দশমিক ৬৫ শতক জমির মালিক। এরমধ্যে মান্নানের কাছে বিক্রি করেছেন ৪ শতক। কিন্তু তারা ৯০ এ রেকর্ড করে নিয়েছেন নিজের ছাড়াও ৫দশমিক ৩৫ শতক জমি।
ভুপতির ওয়ারেশগন জমির মালিক ১৪ দশমিক ৫৩ শতক। তারা অতিরিক্ত রেকর্ড করে বিক্রি করেছেন মান্নানসহ তিনজনের কাছে ৩৭ দশকমিক ৫০ শতক জমি। নরেনের ওয়ারেশগন মোট ৭দশমিক ৬৫ শতকত জমির মালিক। তারা অতিরিক্ত রেকর্ড করে ২২ দশমিক ৮৫ শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছেন মান্নানের নিকট।
আমাদের এ সব জমির মধ্যে ২০ শতক জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন রেকর্ড করে নিয়েছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করে ১৮ শতক জমি ফিরে পেয়েছি। এখন জমি দখল নিতে গেলে মান্নানের জমি বেহাত হওয়ার আশংকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।