ঢাকা অফিস : সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান দুর্ঘটনায় এ তথ্য জানান।
নিহত ১৮ জন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া।
গত সোমবার পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজীদের বহনকারী বাসটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। ব্রেক কাজ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল আখবারিয়া নিউজ।
ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামানসহ দুজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। ওই বাসে মোট ৪৭ যাত্রীর ৩৫ জন ছিলেন বাংলাদেশি।