বিসিএস প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ২৬৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এবং আটজন দেশের বাইরে বিভিন্ন দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আজই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পদোন্নতি সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পদোন্নতির বিধিমালা অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা সেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০২২ সালের ৩ জুন। তাদের দীর্ঘ দিন পদোন্নতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১২ সালের ৩ জুন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। সেই হিসাবে তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জিত হয় ২০২২ সালের ৩ জুন। ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নানা কারণেই আর ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হয়নি। এই ব্যাচে ২৭৭ জন কর্মকর্তা যোগদান করেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, লেফট আউটসহ প্রশাসন ক্যাডারের ৩১৯ কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্য হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ২২৩ কর্মকর্তা ডিএস পুলে যোগ দিতে আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে ২৬৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের ২১২ পদে কর্মকর্তা আছেন ৩৫৮ জন। যুগ্মসচিবের ৫০২টি পদে রয়েছেন এক হাজার ২৮ জন। সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা এক হাজার ৪২০। বিপরীতে কর্মরত আছেন এক হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ প্রতিটি স্তরেই নির্দিষ্ট পদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তা বেশি রয়েছেন। ফলে পদ খালি না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করে যেতে হবে।