ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন বাকুলিয়া গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলায় আহত হয়েছেন যশোর কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্য। সোমবার (৫ মে) বিকেলে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন যশোর কোতয়ালী থানার এএসআই তাপস কুমার পাল এবং কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের ভাইয়ের ছেলে সুজন হোসেন সম্প্রতি যশোর থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার যশোর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সোমবার দুপুরে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে বাকুলিয়া গ্রামে যায়। ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আনার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী ও পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে এবং তাদের কাছ থেকে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের মার ঠেকাতে গিয়ে কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মোছাম্মদ মাছুরা খাতুনও আহত হন।
আহত কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ৬-৭ জন পুরুষ এসে আমাকে বলে হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়তেই তারা আমাকে ও আমার সাথে থাকা নারী কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোরে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।