যশোর প্রতিনিধি
যশোরে বাসের হেলপার বাপ্পি হত্যার ঘটনায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে রানা সরদার (২১) নামে একজনকে আজ রোববার বিকেলে বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগা মোড় থেকে গ্রেফতারেছে থানা ও (ডিবি) পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু, মোবাইল উদ্ধার। গ্রেপ্তার আসামি হলো সদর উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরিফুল সর্দারের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়,শনিবার সকালে যশোর মনিহার মনির উদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রাস্তার উপর সরদার ট্রাভেলস নামক বাসের হেলপার বাপ্পিকে বাসের ভিতরে রাতে কে বা কাহারা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় বাপ্পির লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। রোববার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশ বাঘারপাড়া ধলগা মোড়ে বিকাল পাঁচ টার দিকে, সরদার ট্রাভেলস এর অন্যা আরেকটি গাড়ির হেলপার রানা সরদারকে তার ব্যবহৃত মোবাইলসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাকু ও পরিবহনটি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, যশোর লোহাপট্টি পতিতা পল্লীর এক মেয়ে সাদিয়া আক্তার পপির সাথে রানার প্রেম সম্পর্ক হয় এবং বিয়ে করতে চায়। পরে বাপ্পির সাথে রানা পরিচয় করে দেয় এবং মোবাইলে কথা বলে। এক পর্যায়ে বাপ্পি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে কথা বলতে থাকে। দুজনের নাম্বার ব্যস্ত পেয়ে রানার সন্দেহ হয় এবং পরিকল্পনা করে শনিবার গভীর রাতে বাসের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত বাপ্পিকে চাকু দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ষ্টেপ করে হত্যা করে রানা।