যশোর প্রতিনিধি: বিভিন্ন মামলার আসামি এবং নানা অভিযোগ রয়েছে দাবি করে ১ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে যশোর শহর শহরতলীতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কয়েকটি টিমসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ অভিযান চালিয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। আর এ অভিযানে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মী আটক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্নস্থানে থানা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশি মুভমেন্ট কমে যায়। আর বিগত দু’মাস যশোর পুলিশও কার্যকরিভাবে মাঠে না থাকার সুযোগ নিয়ে অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার মত জোরেসোরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বিভিন্ন মামলার আসামি, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলোর সদস্যরা। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা চলমান পরিস্থিতে পুলিশের অপরাধ বিরোধী অভিযান কমে যাওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। এরই মাঝে ১ অক্টোবর রাতে যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর যশোরের অনেক নেতকর্মী গা ঢাকা দিয়ে আছেন, আবার অনেকে পুরোনো অনেক ঘটনায় করা নতুন মামলায় আসামি হয়েছেন। আর যারা সাধারণ নেতাকর্মী তারা নানা শংকা নিয়ে এলাকায় ও বাড়িতে অবস্থা করছেন। এরই মাঝে ১ অক্টোবর রাতে অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানে অনেকে আটকও করা হয়েছে। বাড়িতে অভিযান চালালেও আত্মগোনে থাকায় অনেক নেতাকর্মীকে পায়নি পুলিশ। যশোর শহরের কাজীপাড়া, পুরাতন কসবা, পোস্ট অফিসপাড়া বারান্দিপাড়া, সিটি কলেজপাড়া, চাঁচড়া রায়পাড়া, বিরামপুর, উপশহর, খোলাডাঙ্গা, ধর্মতলা, পালবাড়ি, লোন অফিসপাড়া, ষষ্টিতলাপাড়া, শংকরপুর, রেলগেট, মুজিবসড়ক, নীলগঞ্জ, ঝুমঝুমপুর, ঘোপ জেল রোড, বেজপাড়া, আরএন রোড, খড়কী, কারবালা এলাকাসহ কয়েকটি স্পটের নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান পারিচালিত হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে অনেক নেতাকর্মী।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচাজ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিভিন্ন মামলার আসামি আটক ও অপরাধী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন মামলার আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী ঘরানার ১৩ জন নেতাকমীকে আটক করা হয়েছে ১ অক্টোবর রাতে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আ্ইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অন্যান্য নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। চলমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেটগুলোর দিকেও নজরদারি করছে পুলিশ। সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধী আটক করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীসহ সব ধরণের অপরাধী আটক ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।