ঢাকা অফিস: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর গুলশানে জোড়া খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। চায়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অল্প বেতন এবং কাজ-কর্ম নিয়ে মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে মালিককে শায়েস্তা করতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে এ ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাম রুমন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি।
মুনীম ফেরদৌস জানান, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন খুন হওয়া রফিকুল ইসলাম। সেই প্লটের পাশেই তার চায়ের দোকান ছিল। খুনের শিকার আরেকজন সাব্বির ছিলেন তার দোকানের কর্মচারী। তারা দুজনই এক মেসে থাকতেন। সাব্বির এক পর্যায়ে রফিকুলকে চাকরি ছাড়ার কথা জানানোর পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির রুমনকে (২৭) কাজে রাখেন রফিকুল।
তিনি জানান, চাকরিরত অবস্থায়ই বেতন কম হওয়ার বিষয়ে রুমনের সঙ্গে রফিকের মনোমালিন্য শুরু হয়। এরপর কয়েক দফা বাকবিতণ্ডাও হয়। এরই জের ধরে রফিককে তার বাসস্থানে খুন করে রুমন। আর এ ঘটনা দেখে ফেললে খুন হন সাব্বিরও।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দোকান মালিক রফিকের কাছে এক পক্ষের লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই পক্ষটি রুমনকে টাকার লোভ দেখিয়ে হত্যায় জড়িত করে। রুমনসহ এ হত্যায় আরও দুজন জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।