পচা আলু দিয়ে রান্না করা কাচ্চি বিরিয়ানি পরিবেশনের অভিযোগ যশোরে কাচ্চি ভাই হোটেলের

যশোর প্রতিনিধি: পচা আলু দিয়ে রান্না করা কাচ্চি বিরিয়ানি পরিবেশন করছেন, যশোরে কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলের বিরুদ্ধে ক্রেতা ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনি অভিযোগ করেছেন যশোর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।

এমনকি কয়েকজন চিকিৎসক কাচ্চি ভাইয়ের হোটেলে সেই নষ্ট খাবার নিয়ে গেলেও তারা খাবার ফেরৎ নেইনি। বরং নিজেদের খাবার ভালো বলে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।তখন চিকিৎসকরা তাদের খাবার ডাষ্টবিনে ফেলে দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে শহরের রেল রোডস্থ সেভেন হ্যাভেন টাওয়ারের নিচতলা কাচ্চি ভাই বিরিয়ানি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, যশোর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের একজন চিকিৎসক গত বৃহস্পতিবার অবসরে যান। এ উপলক্ষে শিশু বিভাগের পক্ষ থেকে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টার দিকে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। শেষে হয় দুপুর ২টার দিকে। এর পরে শিশু বিভাগের কর্মচারী উপস্থিত চিকিৎসকদের খাবারের প্যাকেট প্রদান করেন। এ সময় চিকিৎসকরা খাবার খেতে গেলে দেখেন খাবারে বিরিয়ানি ভালো থাকলেও আলু নষ্ঠ ছিল এবং খাবার থেকে নষ্ঠ গন্ধ বের হতে থাকে। তখন কয়েক জন চিকিৎসক কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলে গিয়ে অভিযোগ দেন এবং খাবার পরিবর্তন করে দিতে বলেন। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ম্যানেজার তাদের খাবার ভালো বলে দাবি করে খাবার ফেরৎ না নিয়ে চিকিৎসকদের বিদায় করেন। ফলে সকল খাবার চিকিৎসরা ফেলে দিকে বাধ্য হন।

এসময় ইর্ন্টাণী চিকিৎসক রাশেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, কাচ্চি ভায়ের দোকান থেকে ১টার দিকে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই খাবার নষ্ঠ পাওয়া যায়। পরে সিনিয়র চিকিৎসকসহ তিনি খাবার ফেরৎ দিতে গেলে তারা ফেরৎ নেননি। ফলে খাবার গুলো ফেলে দিতে হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এঘটনায় কাচ্ছি ভাই বিরিয়ানির বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ে রোববার লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।

এদিকে নাম প্রকাশ না কারার শর্তে কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলের পাশে থাকা কয়েক জন দোকান শ্রমিক জানিয়েছেন, প্রথম দিকে কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলের খাবারের মান ভালো ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে খাবারের মান কমে আসছে। তারা আরও অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে কাচ্চি ভাইয়ের হোটেলে নোংরা পরিবেশে রান্নার পাশাপাশি পচা-বাসি জিনিস দিয়ে খাবার তৌরি করছেন। একই সাথে খাবারের মাননি¤œ হলেও খাবারের বিপরিতে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ক্রেতা ঠকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

যশোর মেডিকেল কলেজের হিসাব রক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কলেজে শিশু বিভাগের এক চিকিৎসকের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য কাচ্চি ভাইয়ের দোকান থেকে ১৭৫ প্যাকেট খাবার আনা হয়। কিন্তু খাবারের সময় বিরিয়ানিতে দেওয়া আলু গুলো নষ্ঠ ছিল। ফলে খাবার নষ্ঠ হয়ে যায়। পরে খাবার নিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানে গেলে তারা বলেন র্দীঘ সময় গরম খাবার রাখার ফলে নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। তাই তারা খাবার ফেরৎ না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরে সে খাবার ফেলে দিতে হয়েছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিকালে শহরের কাচ্চি ভাইয়ের হোটেলে গেলে ম্যানেজার থেকে কর্মচারী পর্যন্ত কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি তাদের ০১৩২৯৭০২৯৯১ নাম্বারে কল করে বক্তব্য চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফান কেটে দিয়েছেন। পরে কল করলে তারা আর রিসিভ করেননি।