মসজিদে সহযোগিতার বদলে করেছেন অসহযোগিতা সাবেক মেয়র পলাশ

যশোর প্রতিনিধি: যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ মসজিদের প্রাপ্য ঘরভাড়ার টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন। তার কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ (খুলনা বাসস্ট্যান্ড মসজিদ) কর্র্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি সহযোগিতার বদলে করেছেন অসহযোগিতা। এতে ২০২২ সালের মে থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ঘরভাড়া পাচ্ছেনা মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

পৌরসভার রেজুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত থাকলেও তা মানেননি সাবেক মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ। প্রতিমাসে ২৮টি দোকান থেকে প্রতিমাসে ২৮ হাজার টাকা বঞ্চিত হয়েছে মসজিদ। গত ২৭ মাস ধরে সাবেক মেয়র এ টাকা দেননি। ফলে বর্তমানে মসজিদটির অবস্থা বেহাল। বাধ্য হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ পৌরসভা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বকেয়া টাকা পেতে।

রোববার দুপুরে যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসানের কাছে লিখিতভাবে এ আবেদন জানান কমিটির নেতৃবৃন্দ। একইসাথে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে মসজিদের ২৮ মাসের সাত লাখ ৮৪ হাজার টাকা গেল কোথায়?
টাকা ফেরত পাওয়ার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু দায়িত্ব পালনকালে মসজিদের সামনের রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে সামনে পৌরসভার কিছু দোকার ঘর ভাঙা হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের পূণর্বাসনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ, মসজিদ কমিটি ও আর এন রোড ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মসজিদের জায়গার ভিতরে দোকান ঘর নির্মাণ করা হবে। ওই দোকানগুলির মাসিক ঘর ভাড়া ২৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যারমধ্যে মসজিদ পাবে এক হাজার টাকা ও পৌরসভা পাবে ১৫শ’ টাকা। এ সিদ্ধান্ত পৌর পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশনের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এরপর নিয়মিত মসজিদকে ভাড়ার টাকা দেওয়া হত।
অভিযোগে বলা হয়, পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ যোগদানের পর ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের কাছে অনুনয় বিনয় করলেও কোনো লাভ হয়নি। পাল্টা তিনি অসহযোগিতা করেছেন। ভাড়া না পাওয়ায় মসজিদ আর্থিক সংকটে পড়েছে।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহসভাপতি কাজী শোয়াইব হোসেন, কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার শেখ আবুল কাশেম, কোষাধ্যক্ষ সেলিম রেজা বাপ্পী, সদস্য শাহীনুর হোসেন ঠান্ডু এবং মোহাম্মদ গুলসান।
এদিকে, এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ বলেন, এসব ‘গাঁজাখোরে অভিযোগ। রেন্টু থাকতেই বন্ধ রয়েছে’। এসব কথার পরই মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।