ঢাকা অফিস: বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ছাত্র-জনতার গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, হলি আর্টিজানে হত্যা, শোলাকিয়ায় হত্যাকাণ্ড, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই যা আওয়ামী লীগ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাইকে নির্যাতন করেছে। সাঁওতালদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রামু, নাসিরনগরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রানা প্লাজা ধসে ১২শ শ্রমিকের জীবন যাওয়ার পর মন্ত্রী এসে বলেছে, বিএনপি বিল্ডিং ধরে নড়াচড়া করেছে।
তিনি বলেন, ‘হাসিনা এমনভাবে কথা বলতো যে তার মতো দাম্ভিক আর দুনিয়াতে নেই। চট্টগ্রামে গিয়ে জনসভায় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কি শাড়ি, চুড়ি পরে বসে থাকেন? একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়তে হবে।’
আলাল বলেন, আকবর আলী খানকে ল্যাংড়া লুলাসহ যা-তা বলেছে। ড. ইউনূসের মতো এত সম্মানিত একজন মানুষ তাকে পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা বলেছে। খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে এত নির্যাতন করেছে। ৯২ দিন পর তার ছেলের লাশ এনে হাজির করেছে। এর চেয়ে কষ্টের একটা মায়ের জন্য আর কি হতে পারে?
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক রহমানকে যে বিচারপতি খালাস দিয়েছে তাকে দেশছাড়া করেছে। অন্যদিকে যে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে তাকে প্রমোশন দিয়েছে। এসব কথা বলার জন্য আমাকে নানা মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই শাসনের অবসান হয়েছে। প্রথমে ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। পরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। যারা এতে অবদান রেখেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০৪ জন বিএনপি নেতাকর্মী এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন।’
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল প্রমুখ।