যশোর থেকে লিবিয়ায় যুবককে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি,অভিযুক্ত চার

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের আব্দুলপুর গ্রামের সুমন হোসেনকে লিবিয়ায় পাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট  জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিটন কুমার দাস।

অভিযুক্ত আসামিরা হল,যশোর সদর উপজেলার  আব্দুলপুরের ইব্রাহিম হোসেন ও তার দুই ছেলে ইকবাল হোসেন, বিপ্লব হোসেন এবং ফেনী দাগন ভূইয়া দিলপুর গ্রামের কামরুল উদ্দিন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুলপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করেন। বিপ্লব মাঝেমধ্যে লিবিয়াতে লোক নেন। ২০২২ সালে বিপ্লব হোসেন লিবিয়ায় লোক নেয়ার কথা বলে তার পিতা ও ভাইয়েরা সুমনের পরিবারকে জানায়। সুমনের পিতা তাদের প্রস্তাবে  রাজি হয়ে ছেলেকে লিবিয়াতে পাঠাতে আসামিদের সাথে সাড়ে চার লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর আসামিরা সুমনকে বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে লিবিয়াতে পাঠান।  সুমন লিবিয়াতে পৌঁছে পরিবারকে জানানোর পর আসামিদের পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেয়। ২৮ ডিসেম্বর আসামি বিপ্লব হোসেন লিবিয়ার  ত্রিপোলি শহর থেকে সুমন হোসেনকে কৌশলে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আটকে রাখে। পরবর্তীতে সুমনের বাড়িতে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করবে বলেও জানানো হয়।  সুমনের পরিবার নিরুপায় হয়ে জমি জমা বিক্রি করে বিপ্লবের দেয়া বাংলাদেশী একটি ব্যাংক একাউন্টে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার  টাকা জমা দেয়। এর মধ্যে সুমন সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশী এমব্যাসিতে আশ্রয় নেন। পরে সুমনকে বাংলাদেশ এম্বাসি দেশে ফেরত পাঠায়। এঘটনায় অপহৃত সুমনের পিতা শওকত আলী ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলা তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চারজনকে  অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।  চার্জশিটে অভিযুক্ত  কামরুল উদ্দিন ও বিপ্লব হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।