ঢাকা অফিস: চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি দিয়েছে আন্দেলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমোবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
এর আগে সরকারি চাকরির সব গ্রেড থেকে কোটা বাতিল করার এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় আন্দোলনের মূলমঞ্চ থেকে এ ঘোষণা দেন সমন্বয়কদের একজন সারজিস আলম।
পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের জন্য বিকেল ৩টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা কলা ভবন, ভিসি চত্বর হয়ে শাহবাগে যান। শিক্ষার্থীরা আসার আগেই পুলিশ শাহবাগে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা পদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।