বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কমে ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একই সঙ্গে নিট রিজার্ভ ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন থেকে নেমেছে ১৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

বুধবার (১০ জুলাই) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নামলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন উৎস থেকে বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৭ জুন আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আইডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া গেছে আরও ৯০ কোটি ডলার। আবার জুনে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছিল।

এর আগে গত মে মাসে আকুতে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমেছিল ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। আর গত জানুয়ারিতে আকুর দায় বাবদ ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামে ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে।