আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছবি সংগৃহীত
কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল ভারত। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা এবং তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ভারতের কৃষকরা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দিল্লি চলো অভিযান শুরু করে ২০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন। মঙ্গলবার রাতে পদযাত্রা বন্ধ রাখলেও বুধবার সকাল থেকেই ফের দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, যাতে কৃষকেরা ট্রাক্টর, ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে সড়কে নামতে না পারে। তারপরও পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছে কৃষকেরা।
এর আগে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে সোমবার থেকেই দিল্লিতে এক মাসের ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। হরিয়ানাতেও একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাস্তায় বসানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক, পেরেক বসানো ব্যারিকেড ও কাঁটাতার। কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এসব কিছু উপেক্ষা করেই দিল্লির পথে রয়েছেন হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের প্রায় এক লাখ কৃষক। এমনকি ছয় মাসের খাদ্য সামগ্রী নিয়েই এবার মাঠে নেমেছেন তারা।
এদিকে মঙ্গলবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের আটকায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে, জোর করে ট্রাক্টর দিয়ে সিমেন্টের ব্যারিকেড ভেঙে দেয় কৃষকরা। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ড্রোন দিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ব্যবহার করা হয় জলকামানও। আটক করা হয়েছে বহু কৃষককে। পাথর ছোড়াছুড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি ব্রিজ। এ সময় কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় পুলিশের।
অন্যদিকে সোমবারই কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক চললেও শেষ অবধি ব্যর্থ হয় সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েকটি দাবি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই পক্ষ। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করা হবে।