কলকাতার আদালতে পিকে হালদার সহ ৬ জনের বিচার শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এদিন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ মামলার আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

টানা কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর মঙ্গলবার পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার আদালতে হাজিরা দেন।

বহুল আলোচিত এ মামলার শুনানি ছিল আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষ থেকে আসামিদের সবাইকে আলাদা আলাদা করে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়।
এ সময় আসামিরা সবাই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করতেন। পরে স্বাভাবিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগগুলো শোনার পরে আসামিরা যদি তাদের দোষ স্বীকার করতেন তবে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজন পড়তো না।

এ বিষয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, আসামিরা যেহেতু নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন, তাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের উপর বিচার শুরু করা হচ্ছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে ও বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকবে।

অরিজিৎ চক্রবর্তী আরো জানান, এ মামলার অন্যতম আসামি পৃথ্বীশ হালদার (পি কে হালদারের আরেক ভাই) বর্তমানে কানাডায় আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ মামলায় এখন পর্যন্ত তাকে যুক্ত করা যায়নি। যদিও তাকে এই বিচার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইডি।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউজ ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পি কে হালদারকে আটক করে ইডি। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকে আটক করা হয়। পরে ওই বছরের ২১ মে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পরেই আদালত তাকে দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন আসামিরা।