আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত খ্যাতিমান নির্মাতা কাজী হায়াতের একমাত্র ছেলে কাজী মারুফ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়ক কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
জানা গেছে, জো বাইডেনদের দেশে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন কাজী হায়াতপুত্র। সেখানে এক-দুটি নয়, চার চারটি বাড়ি মালিক হয়েছেন ‘ইতিহাস’ সিনেমা দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতা কাজী মারুফ!
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে কী এমন করেন এই নায়ক? যে এতো অল্প সময়ের মধ্যে চারটি বাড়ির মালিক হয়ে গেলেন! এ নিয়ে অবশ্য কখনোই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি অভিনেতা।
তবে কাজী মারুফের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নিউইয়ার্কে ব্যবসা করেন কাজী হায়াতপুত্র। কীসের ব্যবসা সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। অবশ্য একবার নিজের বাড়িগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন কাজী মারুফ।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, চারটি বাড়ি নিউইয়র্কে। বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাংলাদেশের টাকায় বাড়ি কিনিনি। এখানে কষ্ট করে বাড়ি কিনেছি। আমি সব সময় দেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। দেশে কিছুই নেই আমার, যে দেশ থেকে টাকা নিয়ে আসব।’
এদিকে আমেরিকায় থিতু হওয়ায় কাজী মারুফ দেশে আসেন খুবই কম। ওখান থেকেই মাঝে মাঝে নতুন সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন। কিন্তু সেসব ঘোষণাতেই শেষ হয়ে যায়। খুব প্রয়োজন ছাড়া আসেন না দেশেও। তবে কি তার দেশের জন্য মন কাঁদে না?
এ প্রসঙ্গে কাজী মারুফ দেশের গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমারও বাংলাদেশে থাকতে ইচ্ছা করে। মাথার ওপর দিয়ে বিমান উড়ে যেতে দেখলে দেশে ফিরতে মন চায়। কিন্তু পারি না। এই কিন্তুর বেশ কিছু কারণ আছে।’ সেই কারণগুলো প্রকাশ করেননি অভিনেতা।
২০০২ সালে বাবা কাজী হায়াতের ‘ইতিহাস’ সিনেমাটির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন কাজী মারুফ। অভিষেকেই জিতে নেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এরপর কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। কিন্তু সেভাবে আর আলো ছড়াতে পারেননি। একপর্যায়ে সব ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান এই অভিনেতা। তবে তার বাবা নির্মাতা কাজী হায়াত এবং মা রমিসা হায়াৎ দেশেই থাকেন।