যশোরে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের ঘটনায় দুদকে অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরের পুরাতন কসবার ৬১ শতক জমি জালজালিয়াতির মাধ্যমে দখলের ঘটনায় মিজানুর রহমানসহ সদর সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড এবং পৌর মেয়র ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা গুলশান এভিনিউয়ের বাসিন্দা ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম একেএমজি মুস্তাফা সারওয়ারের ছেলে পাভের সাহিদ সারওয়ার এ অভিযোগ দিয়েছেন। মিজানুর রহমান শহরের পুরতানকসাব কাঠালতলা এলকার নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার পিতা মরহুম একেএমজি মুস্তাফা সারওয়ার একজন ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি তার শ্যালক শেখ মোখলেসুর রহমান ওরফে খোকন ওরফে বিলাতী খোকন কাছ থেকে কোতয়ালী থানার বকচর মৌজার সাবেক খতিয়ান ২৫, এসএ খতিয়ান ১৯, সাবেক ১৫৮ ও ১৫৯ দাগ, এসএ ২৩৩ ও ২৩৬ দাগের ৬১ শতক ক্রয় করেন। এরপর তিনি নামপত্তন করে খাজনা পরিশোধ কেির জমির চতুরদিকে উচু প্রচীর নির্মান করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করেন। এরমধ্যে মিজানুর রহমান সদর সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড এবং পৌর মেয়র ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে জালজালিয়াতি করে ৬১ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১২ শতক জমির আরএস রেকর্ড ও বাকি জমি খাস খতিয়ান ভুক্ত করে সব জমি দলখ করে নিয়েছেন। মিজানুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১৫ জানুয়ারি  বাংলা টাইপ রাইটার মেশিনের  মাধ্যমে টাইপকৃত একটি বায়নামার মাধ্যমে এ জমির মলিক বলে দাবি করেন। প্রকৃত পক্ষে ওই সময় কোন টাইপ রাইডার মেশিন যশোরে আসেনি।  মিজানুর রহমান প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরী কাগজপত্র দিয়ে যশোর পৌরসভার তৎকালিন মেয়র ও তারি অধিনস্ত কর্মকর্তার যোগসাজোসে মরহুম একেএমজি মুস্তাফা সরোয়ারের নামে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স এর নাম পরিবর্তন করে নিজ ট্যাক্স পরিশোধ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দুইজনের পৌর ট্যাক্স আইডি একই। মিজানুর রহমান জালজালিয়াতিকারী তার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একধিক প্রতারণা মামলা বিচারধীন রয়েছে। তার এসব অপকর্মের তদন্ত করে আইনুনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।