যশোরে আইনজীবীর কাছে পাঁচলাখ টাকা চাঁদাদাবিতে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে যশোরে আইনজীবী আবুল কায়েসকে গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হুমকির ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত১৮ সেপ্টেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার দিবাগত রাতে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বাইলেন মৃত নওশের আলীর ছেলে শেখ মিনারুল হাবিব, মিনারুল হাবিবের স্ত্রী রেহেনা পারভীন, একই এলাকার মৃত বাক্কার সিদ্দিক এর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আনু,মিনারুল হাবিবের ছেলে অর্নব ইমান আলীর মেয়ে অরপা খাতুন।
শহরের ১৩৮ বাইলেন ঘোপের বাসিন্দা হাজী আবুল কাশেমের ছেলে এ্যাডঃ আবুল কায়েস বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন,তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য। যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বাইলেন তার ৫ম তলা বিশিষ্ট নিজস্ব বাড়িতে বাদি বসবাস করেন। আসামীগন,দাঙ্গা,হাঙ্গামা,সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গ,পরসম্পদ লোভী,চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। শেখ মিনারুল হাবিবের কাছ থেকে বিগত ২০০৮ সালে বাদি ৪.১৩শত জমি কিনে তথায় বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। আবুল কায়েসের ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান হাবিব এবং ভাইঝি সালিমা ইয়াসিন শেখ মিনারুল হাবিবের ছোট দুই ভাই যথাক্রমে শেখ শরিফুল হাবি ও এস কে ওয়াসুল হাবিব এর নিকট থেকে গত ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর ৯.৩৫ শতক জমি ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা কিনে নামজারী করে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমি বাদির ভাই ও ভাইঝি  কেনার পর হতে আসামীগণ বাদির নিকট ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। উক্ত ৫লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বও সকাল ১০ টায় বাদি বাড়ি হতে বের হয়ে রাস্তায় আসলে সকল আসামীগণ বাদিকে ঘিরে ধরে বাদিকে বলে তাদের পূর্বের দাবিকৃত ৫লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। নয়লে বাদিকে এবং বাদির ভাই আবুল কালাম আজাদকে খুন করে ফেলবে। বাদি আসামীদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করে। তখন আসামীরা বলে জানে বাঁচতে চাইলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের চাঁদা হিসাব দাবিকৃত টাকা দিতে হবে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় বাদি আসামীদের বাড়ির সামনে দিয়ে নিজ বাড়িতে  যাওয়ার সময় আসামীরা বাদির গতিপথ রোধ করে শেখ মিনারুল হাবিব ধারালো গাছি দা দিয়ে বাদিকে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করার সাথে সাথে শেখ মিনারুল হাবিব তার হাতের দা বাদির দিকে ছুড়ে মারে। বাদি সরে গেলে দা  লক্ষভ্রষ্ট হয়। অন্যান্য আসামীরা বাদিতে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে হাত দিয়ে ঠেকালে আহত হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে বাদির হাতে লেগে আহত হয়। বাদির ভাই আবুল কালাম আজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা ছুড়ে মারে। সে সরে গেলে প্রাণে রক্ষা পায়। বাদির পরিচিত আমিনুল হক অনিক ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে মামলা করলে আসামীরা খুন করে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। বাদি এ ঘটনায় বাদি আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানা কর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন।