লাগেজের ভেতর থেকে উদ্ধার করা ৮ খণ্ডিত লাশের হত্যাকারি স্ত্রী ও সন্তান আটক

চট্টগ্রাম প্রতিদিন: চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানাধীন সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজের ভেতর থেকে উদ্ধার করা ৮টি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ভুক্তভোগীর নাম মো: হাসান (৬০)। তিনি বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের কর্মকর্তারা ওই ভুক্তভোগীর শরীরের অন্যান্য অংশও উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে লাগেজের ভেতর থেকে মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের ৮ টুকরা খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছিল। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর তার স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে।