ডেঙ্গুর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাংবাদিকরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাংবাদিকরা। তারা ডেঙ্গুর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের পুলিশের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করেন। আজ রবিবার দুপুরে এঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) যশোর প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, ৭১ টিভির যশোর প্রতিনিধি এস এম ফরহাদ ও ক্যামেরা পারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন।
লাঞ্ছিত ৭১ টিভির যশোর প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ জানান, ডেঙ্গু রোগি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে ফোন করলে তিনি সরাসরি তার অফিসে যেতে বলেন। তার অফিসে যাওয়ার পর তিনি ৭১ টিভির ক্যামেরা পারসনকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় তিনি ক্যামেরা পারসনকে ধাক্কা দেন। এরপর কয়েক জন চিকিৎসক ও কর্মচারীকে ডেকে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে
নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তত্বাবধায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
প্রেসক্লাব যশোর সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরসহ সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এব্যাপারে যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমি শুনেছি হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিকদের চাহিদা মোতাবেক যতদুর সম্ভব তথ্য দেয়া উচিত। সংবাদ কর্মীদের প্রতি অনুরোধ সরকারি অফিসে যেয়ে শিষ্ঠাচার মেনে চলা । নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকা উচিত নয়। এধরনের ঘটনা না ঘটাই ভালো। এটা অনাকাঙ্খিত। ভবিষ্যতে যেন এধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো। বিষয়টি তিনি বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করবেন জানিয়ে তিনি মিলেমিশে কাজ করার জন্যও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এঘটনায় যশোরের জেলা প্রশাসক হাবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে ওখানে কি ঘটেছিল আমার জানা নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দেখবেন। আমরা যশোর কে অন্যভাবে দেখতে এবং রাখতে চাই।