যবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কার প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন

যশোর অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ-কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্বীয় কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিমন্ডল অতিক্রম করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশে^র শোষিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু দেশেই নয়, বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তাইতো জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার তাঁকেই মানায়।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও শান্তি, স্বাধীনতা ও বাঙালির অধিকার আদায়ে ভিন্নমাত্রায় লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশীদ আসকারী। দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তির পূর্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যে সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়, সময়ের প্রেক্ষাপটে সেটিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমার দৃষ্টিতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়নধর্মী হলো জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার। তিনি বলেন, মানুষ হলো নশ্বর। কিন্তু তাঁর চেতনা হলো অবিনশ্বর। তরুণ প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই চেতনাকে ধারণ করতে হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. মো. তানভীর ইসলাম, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তরপ্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।#