খলিলুর রহমান ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে জাল দলিল করে জমি দখলের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই

যশোর অফিস
যশোর বেনাপোলের ডুবপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে জাল দলিল করে জমি দখলের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। এ ঘটনায় একই গ্রামের হেদায়েতুল্লাহর করা মামলার মামলার তদন্তে এমনটি উঠে এসেছে। এ তদন্ত রিপোর্ট আদালহ গ্রহণ করে আসামিদের প্রতি সমন ইসু করায় চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। হেদায়েতুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময় বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে খলিলুরর রহমান ও তার লোকজন।
অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোলের বুজতলা মৌজার ৮/৮ দাগের ৩৭ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হেদায়েতুল্লাহ। ডুবপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান ও তার ছেলেরা এ জমি দখলের ষড়যন্ত্র ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালে খলিলুরকে আসমি করে আদালতে মামলা করলে স্থানীয়দের মাধ্যমে মীমাংসা করে তিনি জমি দখল ও হুমকি দিবেনা বলে অঙ্গীকার করেন। এরপর খলিলুরর রহমান ও তার লোকজনের সহায়তায় রাতের আধারে এ জমিতে বাঁশের খুটি দিয়ে টিনের ছাবড়া ঘর তুলে দলখ নিয়ে নেন। ২০২২ সালের ২০ মে এক শালিসে এ জমি তার বলে দাবি করে একটি দলিলের ফটোকপি দেখিয়ে তিনি শালিসের স্থান ত্যাগ করেন। ২৬ মে যশোর সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যেয়ে এ দলিলের খোঁজ নিয়ে তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। জালজালিয়াতির মাধ্যমে জমির দলিল তৈরী ও রাতারত্রি ঘরবাড়ি তৈরী করে দলখ নেয়ার অবিযোগে খলিলুর রহমান ও তার দুই ছেলেকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন হেদায়েতুল্লাহ। এ মামলার তদন্ত শেষে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরী ও জমি দলখলের সত্যতা পায় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। আদালতে দেয়া পিবিআই‘র তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিচারক আসমিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের দেয়া সমন পেয়ে খলিলুর রহমান ও তার সহযোগীরা হেদায়েতুল্লাহকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে খলিলুর রহমান ও তার লোকজনের ভয়ে হেদায়েতুল্লাহ বাড়িতে থাকা নিরাপদ মনে করছেনা। যে কোন সময় খলিলুর  ও তার লোকজন বাড়িতে হামলা করে খুন জখমসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।