আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একজন সাবেক আফগান নারী আইনপ্রণেতা এবং তার এক দেহরক্ষীকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মুরসাল নবিজাদা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন, যাদেরকে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তিনিসহ কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্য ছিলেন যারা তালেবান দখলের পরেও কাবুলে ছিলেন। খবর আল জাজিরার।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান রবিবার বলেছেন, নবিজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
‘নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে’, বলেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মৌলভি হামিদুল্লাহ খালিদ জানিয়েছেন, রবিবার বেলা ৩টার দিকে এ গুলি চালানো হয়।
তিনি বলেন, নবিজাদার ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, যিনি আফগানিস্তানের সাবেক পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন, বলেছেন তিনি নবীজাদার মৃত্যুতে শোকাহত এবং আশা করেন যে অপরাধীদের শাস্তি হবে। মুরসালকে তিনি ‘জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
মুরসাল নবিজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং একটি বেসরকারি গোষ্ঠী, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।
সাবেক আইনপ্রণেতা মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, নবীজাদা ছিলেন ‘আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক।
একজন নারী মুরসাল নবিজাদার ছবি দেখছেন। ছবি এএফপির
আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও, তিনি তার জনগণের জন্য থাকার এবং লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,’ যোগ করেন সোলাইমানখিল।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য হান্না নিউম্যান টুইটে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ!’