যশোরে নকল সোনার বার লোভ দিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি
রিকশা চালকের আড়ালে নকল সোনার বার আসল সোনার বার হিসেবে নারী রিকশার যাত্রীকে চালিয়ে দেওয়ার এক পর্যায় একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৫ হাজার টাকা লুট করার অভিযোগে দু’জনকে জনগণ আটক করেছে। এ সময় তাদের সহযোগী আরো তিনজন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় গৃহবধূ যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার আহাদুর জামান শ্রাবনের স্ত্রী হাসনা হেনা বাদি হয়ে রোববার দিবাগত গভীর রাতে মামলা করেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার সোনাডাঙ্গা খোকন কমিশনারের কলোনী জামালের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত হানিফ শেখ এর ছেলে নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার দড়িচর ইকরবুনিয়া গ্রামের মৃত হায়দার ফরাজীর ছেলে সোহাগ ফরাজী, খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার আরাফাত প্রকল্প মৃত মুসা খানের ছেলে বাবু খান, খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা খোকন কশিনারের কলোনী মৃত আবুল সরদারের ছেলে বাবু খান ও যশোর শহরের সিটি কলেজ কলোনীপাড়ার  আব্দুল আজিজের ছেলে ডালিম হোসেন। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম ও সোহাগ ফরাজীকে জনগন ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে।
গৃহবধূ হাসনা হেনা মামলায় উল্লেখ করেন, রোববার ৩ জুলাই দুপুর ২ টায় যশোর সদর হাসপাতাল মোড় হতে নজরুল ইসলামের রিকশা ভাড়া নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে দুপুর সোয়া ২ টায় শহরের প্যারিস রোডস্থ বাদশা ফয়সাল স্কুলের পিছনে ফাকা জায়গা নিয়ে রিকশাটি দাঁড় করায়। দাঁড় করে রিকশা চালক নজরুল ইসলাম যাত্রী গৃহবধূ হাসনা হেনাকে বলেন রিকশা খারাপ হয়ে গেছে। রিকশা আর চলবে না। তখন নজরুল ইসলাম তার হাত থেকে একটি সাদা কাগজ দিয়া মোড়ানো যার মধ্যে শ্রী জুয়েলার্সের প্যাডে চিরকুট লেখা অবস্থায় একটি স্বর্ণের ছোট বিস্কুটের অনুরুপ যার উপর ২২সি লেখা আছে যাহা নজরুল গৃহবধূকে দিয়ে পড়তে বলে। তখন গৃহবধূ চিরকুট লেখা পড়ে শোনায়। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের সহযোগী উল্লেখিত তিন আসামীরা গৃহবধূর কাছে আসে।  স্বর্ণের বারটি দেখে সকলেই গৃহবধূকে বারটি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। গৃহবধূ লোভে পড়ে উক্ত বারটি ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন এর বিনিময়ে ৮০ হাজার টাকা মূল্যে গ্রহন করেন। সেই সুযোগে পালিয়ে যাওয়া তিন আসামী গৃহবধূর ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। স্বর্ণের বারটি দেখে গৃহবধূর কাছে নকল মনে হলে তিনি ডাক চিৎকার দিলে আসপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নজরুল ইসলাম ও সোহাগ ফরাজীকে হাতে নাথে ধরে ফেলে। তাদের সহযোগী তিন আসামী গৃহবধূর নগদ ৫ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত প্রতারক নজরুল ইসলাম ও সোহাগ ফরাজীকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#