আব্দার রহমান,যশোর
ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীর পাইকারি ফুলের বাজারে চাষীরা সারা বছর ব্যবসায়ীদের নিকট ফুল বিক্রি করে থাকেন। এ ফুলের বেশিরভাগ অংশ ঢাকা এবং চিটাগাং এর বাজারে বিক্রি হয়। যশোরের গদখালী থেকে ঢাকা চিটাগাং ফুল পরিবহন করতে গেলে দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজট থাকার কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ে ফুল ঢাকা চিটাগাং এর বাজারে পৌঁছাতে পারতো না এ কারণে বিপদে পড়তে হত এবং ব্যবসায়ীদের। অনেক সময় লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল পচে নষ্ট হয়ে যেত। এক্ষেত্রে কৃষক ও ব্যবসায়ী দুইজনেই লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হতো।
কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার কারণে এখন আর হয়তো ব্যবসায়ীদের বিপদে পড়তে হবে না বা ফুল পচে নষ্ট হবে না এমনটাই বললেন গদখালী ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন পদ্মা সেতু হওয়াতে আমাদের কৃষক বা ব্যবসায়ী দুজনেই সময় মত ফুল পরিবহন করে ঢাকা চিটাগাং এর বাজারে পৌঁছাতে পারবে। এবং
ফুল পচে নষ্ট হবে না। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
তাছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবার ফুল বিক্রির পরিমান যেন হঠাৎ করেই খানিকটা বেড়েছে।
গদখালীর ৫০ শতাংশ ফুল ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং ৫০ শতাংশ ফুল চালানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছোটবড় বাজারে পাঠানো হয়। ওই সব চালানের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে।
আব্দুর রহিম আরও জানান বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মহৎ উদ্যোগে এই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ পদ্মা সেতু ু নির্মিত হওয়ার কারণে আমাদের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের অনেক কষ্ট লাভ হয়েছে। যেখানে এ অঞ্চলের মানুষের ফেরিঘাটে ১২/১৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো সেখানে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় আমরা ৬/৭ ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।