যশোরে চাঁদাবাজি ও মারপিটের ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর  এলাকার মোবিল ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নাজিম ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বেধড়ক মারপিট করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার ৬ জুন রাতে ৭ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও তাদের অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জন উল্লেখ পূর্বক কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর এলাকার মহি উদ্দিনের ছেলে সোহেল,সবুজ,মৃত আক্কাস মিস্ত্রির ছেলে ছোট  মনি, রেজাউলের ছেলে স্বজল, নূর ইসলামের ছেলে চয়ন, জিলনের ছেলে আকাশ, মৃত আকবর আলীর ছেলে আমিনুর ওরফে গাঁজা আমিনুর।
সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নাজিম বাদি হয়ে মামলায় বলেন, আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। নাজিম উদ্দিন ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ মামুন যশোর বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরী করে। নাজিম মোবিলের ব্যবসা করে। নাজিম উদ্দিন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করতে হলে সোহেল ও তার সহযোগী সিন্ডিকেট দলের লোকজন নাজিম উদ্দিন ও তার খালাতো ভাইয়ের নিকট প্রায় সময় চাঁদা দাবি করে আসছিল। বাদি ও তার খালাতো ভাই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা তাদেরকে মারপিট খুন জখমের হুমকী দিতে থাকে। ওই ঘটনায় নাজিম ও তার খালাতো ভাই থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডাইরী করে। সাধারণ ডাইরী প্রসিকিউশন হওয়ায় সোহেল  বাদি ও তার খালাতো ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে খুন জখমের হুমকী দিতে থাকে। গত ৪ জুন বিকেল ৩ টায় বাদি ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন  ঝুমঝুমপুর বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল মোড়স্থ পান বিক্রেতা জনৈক আনোয়ারের দোকানের সামনে পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা ৫/৬টি মোটর সাইকেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের দু’জনকে গতিরোধ করে। তাদের দু’জনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সোহেল ও তার সহযোগীরা বাদি ও তার ভাইয়ের নিকজ চাঁদা স্বরুপ ১লাখ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সোহেলের হুকুমে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা এক যোগে দু’জনকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। সোহেল বাদির পকেটে থাকা ব্যবসার নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরুপ কেড়ে নেয়। ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদি ও তার ভাইয়ের কাছে বাকী ৫০ হাজার টাকা না দিলে পুনরায় পাইলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে  বলে হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাদি ও তার খালাতো ভাই বর্তমানে পরিবার বর্গ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আহত অবস্থায় নাজিম উদ্দিন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে।#