মালবাহী লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ছয় যাত্রী নিহত

মাধঘোপা নিউজ ডেস্ক: ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মোড় ঘুরতে থাকা একটি মালবাহী লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ছয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার বন্ধু রয়েছেন, যারা পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে এসেছিলেন।

উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের তেঘরিয়া এলাকার সার্ভিস রোডে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চার বন্ধুর মধ্যে তিনজনের বাড়ি চাঁদপুর। তারা হলেন-সদর উপজেলার ইচলি এলাকার কলমতর গাজী বাড়ি এনায়েত উল্লাহ গাজী একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), পল্লি বিদ্যুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার সিপাদ (২০)। অপর বন্ধু হলেন নাহিদ হোসেন ফাহিম (২১)। এছাড়া নিহত অপর দুজনের একজন অটোচালক মো. তমাল (১৮) ও যাত্রী মো. জনী (২৮)।

দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের তিনজন
দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের তিনজন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে মালবাহী লরিটি (ঝালকাঠি শ-১১-০০৩৭) সার্ভিস রোড থেকে ডানে যাওয়ার জন্য ঘুরছিল। এ সময় থানার দিক থেকে একটি সিএনজিচালিত (ঢাকা মেট্রো-থ ১১-৫৮৩০) অটোরিকশা দ্রুতগতিতে এসে লরির পেছনের অংশে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হন। বাকি দুই যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে একজন মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আফজাল হেসেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর লরিটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

নিহত সামাদের জেঠাতো ভাই মো. রুবেল জানান, পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে তার ৩ বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যান। সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তাদের অপর দুই বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে দুই বন্ধুর এক বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে আজ শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

কিন্তু ৪ বন্ধু মিলে রাতে সিএনজিযোগে মাওয়া যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ড ভ্যানের পেছন পেছন যাচ্ছিল সিএনজিটি। এসময় কাভার্ডভ্যানটি স্লো করলে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন দিক থেকে আঘাত করে। এসময় সিএনজিতে থাকা পাঁচ যাত্রী ও ড্রাইভার সকলেই ঘটনাস্থলে নিহত হয়। যার মধ্যে ৩ বন্ধু চাঁদপুরের আর একজন বিক্রমপুরের। অপর একজন সাধারণ যাত্রী ছিল। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশের কাছে আবেদন করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি বলেন, বৃহস্পতিবার আমার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি যাব কিনা। প্রথমে আমি যাব বলেছিলাম কিন্তু সর্বশেষ গতকাল আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি যেতে পারিনি। এরমধ্যে তাদের সাথে কয়েকবার আমার ইমুতে কথা হয়েছে কিন্তু সর্বশেষ রাতে এই দুর্ঘটনার খবর পাই