যশোরে বিয়ে হওয়ার পর কাবিননামা না হওয়ায় স্বামী ও কাজীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতারণামূলকভাবে বিয়ের বিশ^াসে প্ররোচিত করা ও সহায়তা করার অপরাধে  ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেরার কিসমত নওয়াপাড়া রেজাউল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদাউস অর্নি বাদি হয়ে আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে শুক্রবার দিবাগত রাতে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে রের্কড করেন। আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের বেজপাড়া বুনোপাড়া মোড়ল প্রভাতি স্কুলের সামনে শফিকুল ইসলামের ছেলে সিফাত ইসলাম অনী,শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রিফাত সুলতানা, মেহেদীর স্ত্রী লিপি খাতুন, বাচ্চুর স্ত্রী হ্যাপী, শফিকুল ইসলাম ও শহরের বারান্দীপাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে কাজী মোশারফ হোসেন।
মামলায় বাদি বলেন, গত বছরের  ১০ সেপ্টেম্বর যশোর পৌরসভা এলাকায় মনিহার কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদাউস ওরফে অর্নির সাথে সিফাত ইসলাম অনীর বিয়ে হয়। রিফাত সুলতানা শ^াশুরী, লিপি খাতুন ও হ্যাপী খালা শ^াশুরী। বিয়ের সময় বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজী মোশারফ হোসেন উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সহযোগী কাজী নিয়োগ করে একটি নিলযুক্ত কাবিন নামায় মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদাউস ওরফে অর্নি ও সিফাত  ইসলাম অনী সহি করে ৪লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ের কার্যক্রম শেষ হয়। তার পর বাদির পিতা মাতা বাদিকে সোনার হার,গলার হার,হাতের চুড়ি,আংটি প্রদান করে। অর্নি স্বামী সিফাত ইসলাম অনীর বাড়িতে যেয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। ঘর সংসার করার সময় অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় স্বামী সিফাত ইসলাম অনী স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদাউস অর্নির কাছে ব্যবসা করার জন্য যৌতুক দাবি করলে বাদি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামী সিফাত ইসলাম অর্নিকে বলে তাকে বিয়ে করে নাই। এবং কোন কাবিননামা হয় নাই। কাজী দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয় নাই। কোন কাবিন নামা নাই বলে বাদিকে মারপিট করে গত ১০ মার্চ বেলা ১১ টায় তার পিতা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাদি তার পিতার বাড়িতে এসে বিষয়টি খুলে বলে। তারা বিষয়টি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সকাল ১১ টায় সিফাত ইসলাম অনীসহ অন্যান্য আসামীদের ও স্বাক্ষীদের বাদির বাড়িতে ডেকে এনে শালিস বৈঠকে বসে। উক্ত বৈঠকে বাদি ও বাদীর পিতা মাতা ও স্বাক্ষীরা বাদিকে নিয়ে ঘর সংসার করার জন্য অনুরোধ করলে তখান সিফাত ইসলাম বলে বাদির সহিত তার বিয়ে হয় নাই। কোন কাজী বিয়ে পড়াইনি।  লোক দেখানোর জন্য একটি অনুষ্ঠানিকভাবে কাজী মাধ্যমে বিয়ে হয়। প্রকৃত পক্ষে কোন রেজিষ্ট্রি কাবিননামা হয় নাই। উপস্থিত সকল আসামীগণ বিয়ের কথা অস্বীকার করে চলে যায়। বাদি উক্ত কাজীর নিকট যেয়ে কাবিন নামা চাইলে কাজী কাবিন নামা দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি  আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালতের নিদের্শে কোতয়ালি মডেল থানায়  আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪৯৩/১০৯ ধারায় মামলা হয়েছে।  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীরা ধরা পড়েনি।