যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেলা প্রশাসকের অফিসে চাকুরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় আমান জামান (৪১) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। আটক প্রতারক খুলনা জেলার খালিশপুর এলকার বাসিন্দা ও মনির জামানের ছেলে। এঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর শহরের নিউ বেজপাড়ার প্রকাশ চন্দ্র দাস (৪৫) একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামির স্বভাব চরিত্র ভালো না। আসামি একজন প্রতারক ও ঠকবাজ প্রকৃতির লোক। আসামি নিজেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নীরিহ লোকদের চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আসামি আমান জামান বাদির ভাইপো তন্ময় দাসের (১৯) পূর্ব পরিচিত। তন্ময়ের বাড়ি বাগেরহাট জেলার হাকিমপুর গ্রামে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি আমান জামান, তন্ময় দাসকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে যশোর ডিসি অফিসে পিয়ন পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে। আসামির কথায় বিশ্বাস করে ২৯ মার্চ দুপুরে যশোর শহরের সিটি প্লাজার সামনে বাদি প্রকাশ চন্দ্র দাসের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে প্রতারক আমান জামানকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়। তন্ময়কে চাকুরি না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকলে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু প্রতারক আমান জামান টাকা বা চাকুরি কোনটায় দেবে না বলে অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় আসামি আমান জামান আন্তজাতিক প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন জেলা ও থানায় অবস্থান করে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদান করে নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বাদি প্রকাশ চন্দ্র দাস টাকা ফেরত চাইলে আসামি আমান জামান বাকি টাকা চায়। প্রকাশ চন্দ্র দাস আসামিকে ধরার জন্য কৌশল অবলম্বন করে। বাকি টাকা দেয়ার কথা বলে দেখা করতে বলে। আসামি আমান জামান বাকি টাকার লোভে ৬ এপ্রিল বুধবার রাতে পুলিশ লাইন কদমতলায় আসে। এ সময় প্রকাশ চন্দ্র আসামি আমান জামানের কাছে আগের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত চায়। আসামি আমান জামান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে বাদি প্রকাশ চন্দ্র সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আসামি আমান জামানকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।