যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ছোট ভাই কোরবানী পঁচা (৪২) হত্যা মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় মেজভাই আলমকে (৪৮) কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আলমকে হত্যার আগে আসামিরা মামলা তুলে নিতে বলে ও সাক্ষী না দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। আসামিদের কথা না শোনায় পরিকল্পিত ভাবে আলমকে হত্যা করা হয়। নিহত আলম ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বর্তমানে পুরাতন কসবা কাজিপাড়ার রসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত শেখ মোহম্মদ আলীর ছেলে।
আলমের ছোট ভাই মুরাদ সোমবার রাতে ২৮ মার্চ দায়েরকৃত হত্যা মামলায় এ কথা উল্লেখ করেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে, যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজিপাড়া গোলামপট্টির মৃত আঃ খালেকের ছেলে আমিরুল , শহিদুল ইসলাম কাঠ মিস্ত্রির দুই ছেলে সোহাগ ও সোহান , ফারুকের ছেলে আইজুল , মৃত লোকমানের ছেলে বাবলু , কাজিপাড়া তেঁতুলতলার রনি ও শহরতলীর খোলাডাঙ্গা সরদারপাড়ার সিরাজুল ইসলাম ওরফে চন্টু মিয়ার ছেলে পিয়ারুজ্জামান ওরফে পিরু ।
মামলায় মুরাদ উল্লেখ করেন, তিনি ওয়েডিংয়ের ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। তার মেজ ভাই আলম ইজিবাইক ব্যবসায়ি। গত ১ বছর আগে তার অপর ভাই কোরবান আলী পচাকে আসামি আমিরুল ও পিয়ারুজ্জামান পিরুসহ সহযোগী আসামিরা হত্যা করে। পচা হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি মামলা হয়। মামলায় বাদি মুরাদের মেজভাই আলম সাক্ষী হয়। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়। আলমকে আসামিরা সাক্ষী দিতে নিষেধ করে ও মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। আসামিদের কথা না শোনায় আলমকে খুন জখম করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। ২৪ মার্চ দুপুরে আলম তার বড় ভাই কাজিপাড়ার জাহাঙ্গীরের বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া শেষে ফিরছিলেন। পুরাতন কসবা কাজিপাড়া গোলামপট্টির আঞ্জুমানআরা স্কুলের পিছনে পৌঁছুলে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে আলমকে ঘিরে ধরে। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে গাছি দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। আলমের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুত্বর জখম আলমকে চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ মার্চ রোববার সকাল পৌনে ৮ টায় তিনি মারা যান। মামলার তদন্ত কর্মকতাৃ এস আই সালাউদ্দিন খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, আসামিদের এখনো আটক করতে পারেননি। আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।