যশোরে তিন যুবক কে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি আটক ৬

যশোর প্রতিনিধি
তিন কিশোর যুবককে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে আটক করে মোবাইল টাকা ছিনিয়ে মারপিট পূর্বক মুক্তিপণ দাবি করায় র‌্যাবের একটি চৌকসদল দুই কিশোর অপরাধীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।  এ সময় তাদের দখল হতে ধারালো তিনটি বার্মিজ চাকু ও তিনটি বোমার সাদৃশ ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় রোববার গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় আলাদা দু’টি মামলা  হয়েছে। আাসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় সলেমান শরীফের ছেলে আফজাল শরীফ, আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের আব্দুর রহিমের ছেলে রুহুল আমিন, নাজির শংকরপুর মধ্যপাড়ার জাহিদুল ইসলাম ওরফে গিট্টুর ছেলে ইমরান,নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দীঘলিয়া বর্তমানে যশোর শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় এলাকার হিরণ কাজীর ছেলে নাঈম, আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের বর্তমানে যশোর নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় স্বপ্ন ভিলা বাড়ির ইয়াছিনেনর ছেলে মোস্তাকিন ও রাব্বি, বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ের হারুনের ছেলে আলীম ও স্বাধীন, নাজির শংকরপুর মধ্যপাড়ার আয়ূব আলীর ছেলে সুমন, আব্দুর রহিমের ছেলে বাবু, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলার বর্তমানে শ^শুর নাজির শংকরপুর মধ্যপাড়ার তরিকুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া ওলিয়ার রহমানের ছেলে সোয়াত, বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ের টবা, নাজির শংকরপুরের মঈন ড্রাইভারের ছেলে মেহেদী ও একই এলাকার মজনু ড্রাইভারের ছেলে মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন।
যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বর্তমানে নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার জামাল টেইলার্সের রজমান বিশ^াসের ছেলে রশিদ বিশ^াস বাদি হয়ে উল্লেখিত আসামী ও তাদের অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলায় উল্লেখ করেন, বাদির ছেলে সাগর (১৭) ও তার বন্ধু জাহিদুল ইসলাম (১৬) এক সাথে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বিকেল সোয়া ৪ টায় দোকান বন্ধ থাকায় ঘোরার জন্য নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় বিশ^াস পাড়ার মাঠে গেলে আফজাল শরীফ রুহুল আমিন, স্বাধীন,সুমন ও সোয়াত বাদির ছেলে সাগর ও তার বন্ধু জাহিদুল ইসলামকে অবৈধবাবে আটক করে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে মারধর শুরু করে। উক্ত আসামীরা সাগরের কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ ১ হাজার ৭শ’ টাকা কেড়ে নেয়। এ সময় সাগরের বন্ধু জাহিদুলকে মারধর করতে থাকে এবং চাঁদা হিসেবে তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করে। সাগর ও জাহিদুলকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে ও  চাঁদা না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। বাদির অনুরোধে তার ছেলে সাগরের মোবাইল রেখে সাগরতে ছেড়ে দেয়। সাগর ছাড়া পেয়ে তার পিতা মাতার কাছে এসে বিষয়টি জানায়। বাদি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কথা মতো টাকা নিয়ে নাজির শংকরপুর জিরোপয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করে। ফোনে আসামীদের সাথে বাড়ি যোগাযোগ করে জাহিদুল ইসলামকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। ঠিক সেই মূহুর্তে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি টহলদল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাবের টহল দলকে বিষয়টি খুলে বলে। র‌্যাবের কথা মতো বাদি আসামীদের দাবিকৃত টাকা নিয়ে তাদের কথামতো নাজির শংকরপুর মাঠপাড়া সুপারী বাগানস্থ মুজিবুর রহমানের বিল্ডিং এর পশ্চিম পাশের্^ পরিত্যক্ত টিনশেড ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টায় র‌্যাবের টহল টিম উদ্ধার হলে  অপরাধীরা পালানোর চেষ্টার এক পর্যায় উল্লেখিত ৬জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের দখল হতে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর গ্রামের বর্তমানে শহরতলী নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার বাচ্চু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও মণিরাপুর উপজেলার মাছনা খানপুর বর্তমানে শহরের বকচর হুশতলার মিজানুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে উদ্ধার করে। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তারা তাদের অপরাধের  বর্ণনা দেয়। তাদের দখল হতে দু’টি বার্মিজ চাকুসহ তিনটি চাকু ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। পরে তাদেরকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে র‌্যাবের কর্মকর্তারা একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদের রোববার সন্ধ্যায় আদালতে সোপর্দ করেন।