যশোর প্রতিনিধি যশোরে নিরোধ ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানির আশ্চার্য্য মলম ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট এবং জমির কাগজপত্র ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে দস্যুতার আইনে আদালতে দেয়া পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন, বেজপাড়া মেইন রোডস্থ পুজারমাঠ এলাকার মৃত নিরোধ ঘোষের ছেলে আশিষ কুমার ঘোষ ওরফে কালীপদ ঘোষ (৫০)।
আসামিরা হলো, নীলগঞ্জ সুপারি বাগান এলাকার মৃত গৌরাঙ্গ কুমার ঘোষের ছেলে রিবন কুমার ঘোষ (৫০), মৃত অমৃত লাল দে’র ছেলে গরম কুমার দে (৩৫), মৃত পঞ্চনন ঘোষের ছেলে নিত্য রঞ্জন ঘোষ (৩৮) এবং বিমল ঘোষের স্ত্রী এবং বাদির বৌদি সন্ধ্যা রাণী দে (৪৫)।
এজাহারে কালীপদ উল্লেখ করেছেন, আসামি সন্ধ্যা নারী তার বড় বৌদি। পৌত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত নিরোধ ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানির মলম ব্যবসা নিয়ে আসামিদের সাথে তার বিরোধে তৈরি হয়। সে কারণে তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। গত ১২ জানুয়ারি তিনি ও তার ছেলে অপূর্ব ঘোষ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে একটি বাইসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিপধ্যে বেলা আড়াইটার দিকে আরএর রোডস্থ নতুন বাজারের কাছে পৌছালে আসামিরা তাদের গতিরোধ করে। এবং পাশের একটি গলির মধ্যে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। কাছে থাকা মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র, জামির পরচা, দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তার ছেলের কাছে থাকা ব্যবসা সংক্রান্ত নগদ ৩০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এ সময়তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পারিবারিক বিষয় বলে এড়িয়ে যায়। পরে তাদের হুমকি দিয়ে চলে গেলে তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
এই ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি তিনি আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতে পিটিশনটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে কোতয়ালি থানা পুলিশ রোববার তা নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে