যশোর প্রতিনিধি
ইটভাটা শ্রমিক ফাইমা (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা জেলার তালা থেকে জাহাঙ্গীরকে যশোর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) সদস্যরা। বলে জানিয়েছেন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন।
তিনি বলেন, ঘটনার বিষয় বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে ইটের ভাটা শ্রমিক ফাহিমা বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম শেখ (৪০)বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলা নাম্বার ৪৩, তারিখ ১৪,০১,২২। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাত নামা।
মামলায় লিখিতভাবে শরিফুল ইসলাম বলেন, বোন ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করতো। গত ১ ডিসেম্বরে জৈনিক ইসমাইলের মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপু দফাদার ইটের ভাটায় কাজ নেয়।এক সপ্তাহ কাজ করলে বৃষ্টি ও দূর্যোগের সৃষ্টি হয়। সে কারণে বোন ও ভগ্নিপতি তালায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এক সপ্তাহ পরে ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তালা থেকে যশোরে ওই দফাদার ইট ভাটায় কাজে আসে। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে খোজাখুজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা তালা থানায় জিডি ( ৩৩/ ০১.০১.২২ করি।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে আমার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা বেগম মোবাইলে জানায় নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেপটুকট্যাঙ্ক (রিংস্লাবের) ভেতরে অজ্ঞাত মহিলার মরদেহ পাওয়া গেছে। যশোরে এসে মরদেহ শনাক্ত করি। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২টার মধ্যেে যেকোনো সময় অজ্ঞাত নামা আসামিরা বোনকে খুন করে লাশ গুম করার উদ্দ্যশ্যে টয়লেটের ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম এই মামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।