যশোর প্রতিনিধি: যশোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। এবার কোতয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
এই মামলায় ৮জনকে আটক দেখানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল, দুইটি লোহার রড, ৪টি প্লাস্টিকের পাইপ ও ১২টি বাঁশের লাঠি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
আটক আসামিরা হলো,শহরের পালবাড়ি তেতুঁলতলা মোড়ের একরামুল কবির সুমন (৩৫), সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়ার আনোয়ার হোসেন মিঠুন (২৬), চাঁচড়া চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার রবিউল ইসলাম রবি (৪১), ঘুনি গ্রামের নাথপাড়ার হুমায়ুন কবির (৪১), নূরপুর উত্তর পাড়ার রিয়াজ উদ্দিন (৪৯), রাহেলাপুর পূর্বপাড়ার আব্দুল গফুর (৪৮), তরফ নওয়াপাড়া মোল্লাপাড়ার আতিয়ার রহমান (৪৫) এবং একরাম আলী (৫০)।
এছাড়া পলাতক আসামিরা হলো, সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন লাল্টু (৪৮), কিসমত নওয়াপাড়ার রাজু (৫০), ছোট শেখহাটি গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৪০), ইকবাল (৪০), আড়পাড়ার মধু (৩৮), পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মশিয়ার রহমান বাবলু (৪৫), তোতা (৩৮), তালবাড়িয়া চিনেডাঙ্গা গ্রামের কবির (৪৫), শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের ওমর আলী বিশ্বাস (৫৮), বিরামপুর গ্রামে মোটা সাইদুর (৫০), চাঁন মিয়া (৪৫), আজাদ কুঁজো (৪২), বিরামপুর গ্রামের রফিক (৩২), সালাত গ্রামের সিরাজ খাঁ (৫০), কাশেমপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল (৫০), কাশিমপুর পূর্বপাড়ার জান্নাতুল ফেরদাউস (৪৭), ডাকাতিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান (৫০), তুহিন হোসেন (২৮), বিজয় নগর মোল্লাপাড়ার সেলিম হোসেন (৩২), কামাল মোল্লা (৩৮), মুকুল মোল্লা (৩২), শরুইডাঙ্গা গ্রামের শহর আলী (৪৫), এনায়েতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৫০), সফিয়ার রহমান (৫০), শ্যামনগর নিকারীপাড়ার কাশেম (৩৫), ওসমানপুর দক্ষিণপাড়ার হারুন অর রশিদ (৩৮), কাশিমপুর দক্ষিণপাড়ার আমিনুর (৪৫), ডাকাতিয়া গ্রামের বাপ্পি হোসেন (৩০), নূরপুর মধ্যপাড়ার রেজাউল (৩৮), দক্ষিণপাড়ার সুমন (৪০) এবং দক্ষিণপাড়ার শফিক (৩০)।
এজাহারে এসআই সেকেন্দার আবু জাফর উল্লেখ করেছেন, সোমবার সকাল ৬টার দিকে গোপন সূত্রে জানতে পারেন সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মুন্সি বেলায়েত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কতিপয় ব্যক্তি বোমা ও লাঠিসোটা নিয়ে ধবংস মূলক কর্মকান্ডের জন্য জড়ো হয়েছে। তিনি সংবাদ পেয়ে সেখানে পৌছালে পুলিশ দেখে আসামিরা পালানো চেষ্টা করে। কিন্তু পিছু ধাওয়া করে ৮জনকে আটক কর হয়। তাদের কাছ থেকে এবং পলাতক আসামিদের ফেলে যাওয়া ৫টি ককটেল, দুইটি লোহার রড, ৪টি প্লাস্টিকের পাইপ ও ১২টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক আসামিদের নাম পরিচয় জানতে পারেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, আসামিরা অন্তর্ঘাত ও ধবংসাত্মক মূলক কাজের মাধ্যমে সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে ওই বোমা ও লাঠি-সোটা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল বলে আটক আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানতে পারে পুলিশ। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আটক আসামিদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ, যশোরে বিএনপির সফল সমাবেশ হওয়ার পর পুলিশ এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।এছাড়া ৪টি মামলা দেয়া হয়েছে দুই শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপি নেতাদের দাবি মামলা গুলো মিথ্যা ও ভুতুড়ে।