বিশেষ প্রতিনিধি
মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে যশোর শহরের ১১ নীল রতন ধর রোড ষষ্টিতলার এক ব্যক্তিকে ১০ ডিসেম্বর রাতে পেয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মারপিট পূর্বক গুরুতর জখম করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আড়াইল লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভদ্রখালী গ্রামের বর্তমানে শহরের বসন্ত কুমার রোড ষষ্টিতলার হুমায়ূন কবিরের ভাড়াটিয়া রিজাউল করিমের ছেলে নাছির উদ্দীন, একই এলাকার রবি ওরফে ম্যাড রবি, শহরের নীল রতন ধর রোডের কাশেমের ছেলে বাবু, আব্দুল মালেকের ছেলে ইমরান হোসেন ও মনু মিয়া, শহিদুল ইসলামের ছেলে সুমন ওরফে ভাগ্নে সুমন, বাদল হোসেন, বিপুল হোসেন, আব্দুল খালেকের স্ত্রী মোছাঃ মনি ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেকসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রধান আসামী নাছির উদ্দীনকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
যশোর শহরের নীল রতন ধর রোডস্থ ইমান আলী বিশ^াসের ছেলে আসাদুজ্জামান মিন্টু বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত আসামীদের মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার মোবাইল চুরি করা নিয়ে আসামীদের সাথে বাদির তর্ক বির্তক হয়। তার জের ধরে রাত সোয়া ১০ টায় বাদিকে বাড়ির সামনে পেয়ে নাছির, রবি, বাবুসহ অন্যান্য আসামীরা লোহার রড, কাটের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। বাদি আত্মরক্ষার্থে ঘরে প্রবেশ করে আসামীরা বাড়িতে হামলা চালায়। বাদির স্ত্রী ও বোন ঠেকাতে এলে তাদেরকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আসামীরা বাদির ঘরের ঘরের দরজা,জানালা,ঘরের সামনে চাল ভাংচুর ও ঘরের সামনে থাকা ভাগ্নের মোটর সাইকেল সম্পূর্ণ ভাংচুর করে। বাদির বাড়ির মূল গেট ভাংচুর ও ঘরের টালি ভাংচুর করে অনুমান আড়াই লাখ ক্ষতি সাধন করে। বাদিসহ তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাদির স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়।এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ এজাহার নামীয় প্রধান আসামী নাছির উদ্দীনকে পুলিশ গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করে।#