যশোর প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। যশোর কারাগারে সোমবার রাত পৌনে ১১টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি হওয়া দুই আসামি হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষীপুর গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু ও একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অন্য সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই দুজনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ায় তাদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি নেয় যশোর কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে শেষবারের মতো দুজনের স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করেন।
কারাগার সূত্র জানায়, আজিজুল এবং কালু আলমডাঙ্গার রায় রায়লক্ষীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকেই দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। আসামিপক্ষ মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।